• অড়হর ডাল তাড়াতাড়ি গলাতে হলে ফুটন্ত ডালে দু-চারটে চাল ফেলে দিলে ডাল তাড়াতাড়ি গলে যায়।
    • পাটা সহজে পরিষ্কার করতে কিছুটা লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে দিলে পরিষ্কার হয়ে যায়।
    • কম টকের দই তৈরি করতে দুধে একটুকরো নারকেল ফেলে রাখলে দই তেমন টক হয় না।
    • তরকারির খাদ্যগুণ ঠিক রাখার জন্য রান্নার সময় সামান্য তেঁতুল ফেলে দিন।
    • গরম চা বা কফি খেতে গিয়ে অনেক সময় জিভে ছ্যাঁকা লাগে তখন যদি মুখে কিছুটা চিনি দিয়ে রাখা যায় বিশেষ উপকার পাবেন।
    • চাল ও ডালে শুকনো নিমপাতা বা মরিচ রাখলে পোকা ধরে না।
    • করলা বা পটলের মাঝখানটা কেটে দু টুকরো করে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকে (রান্না ঘরে)।
    • পেঁয়াজ কাটার আগে দুফালি করে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে চোখে যন্ত্রণা দেবে নাএবং পানি গড়াবে না।
    • দেশলাই বাক্সে কয়েকটা চাল রাখলে বর্ষাকালে কাঠির বারুদ ঠিক থাকে।
    • কাঁচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরম কিছু ঢালার আগে চামচ রাখলে গ্লাস সহজে ফাটে না।
    • প্লেটে যদি মাছের গন্ধ হয়ে যায় তাহলে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার ছিটিযে ধুয়ে নিলেই আর গন্ধ থাকবে না।
    • ফ্রিজের মধ্যে খাবার সোডা এক প্যাকেট রেখে দিলে ফ্রিজের ভেতর আর গন্ধ থাকবে না।
    • গরম মসলার গুঁড়া এয়ার টাইট প্যাকেটে ভরে রাখলে ভালো থাকবে অনেক দিন।
    • খেজুর গুড় দিয়ে পায়েস করতে গেলে অনেক সময়ই দুধটা ফেটে যায়। সে ক্ষেত্রে দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে গুড় মেশাতে হবে। এবার আর একবার ফুটিয়ে নিলেই চমৎকার গন্ধ হবে।
    • লুচির ময়দায় ময়ান মিশিয়ে যখন দেখা যাবে মুঠো পাকালে ময়দা ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে ময়ানের পরিমাণ ঠিক হয়েছে।
    • আচার তৈরি করার আরও একটি ভালো উপায় হলো তেল প্রথমে গরম করে নিয়ে তারপর ঠান্ডা করে ব্যবহার করা, এতে ছাতা পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। কাঁচা তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
    • আচার তৈরি করার সময় তেলে সব সময় একটু ভিনেগার মিশিয়ে নিন। আচার ভালো থাকবে এবং আম অথবা যে জিনিসেরই আচার হোক না কেন টুকরোগুলো আস্ত থাকে।
    • অনেক রান্নাতেই চিনাবাদম অথবা কাজু বাদামের ভাজার কথা বলা থাকে। কিন্তু বাদাম ভাজতে গেলে প্রচুর তেল লাগে। এত তেল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বাদামে সামান্য তেল মাখিয়ে শুকনো তাওয়াতে নাড়াচাড়া করে নিলে তেল লাগবে অনেক কম।
    • মরিচ কাটলে বা বাটলে হাত অসম্ভব জ্বালা করে। ঠান্ডা দুধের সর লাগান। জ্বালা জমে যাবে। অথবা ঠান্ডা দুধ দিয়ে ধুয়ে নিন। হাত পুড়ে গেলেও তখনি ঠান্ডা দুধ দেবেন। ফোসকা পড়বে না, জ্বালাও কমে যাবে।
    • সালাদে বা অন্য কোনোভাবে কাঁচা শাকসবজি খেতে হলে সেগুলো ধুয়ে সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভিজার পর তবেই ব্যবহার করবেন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হয় না।
    • কেক বানাতে গিয়ে যদি দেখেন ডিম নেই, ঘাবড়াবেন না। প্রতিটি ডিমের বদলে এক টেবিল চামচ দুধ ও দুই চা চামচ কর্নফাওয়ার ব্যবহার করুন।
    • চায়ের কাপে লেগে থাকা বাদামি দাগ তুলতে হলে লবণ দিয়ে মাজুন।
    • মাসের মধ্যে কমপে দুবার গ্যাসের বার্নার, কিছুক্ষণ কোরোসিনের তেলে ডুবিয়ে রাখলে বার্নারের ফুটোয় ময়লা জমবে না।
    • পোড়া দাগ যদি খুব পুরনো হয়ে যায় তাহলে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা, আধাকাপ ভিনেগার আর এক কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে দশ মিনিট ফোটান, এরপর ভালোভাবে ধুলেই দাগ উঠে যাবে।