অনেকদিন পরে একেবারে নতুন একটা আচারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। এই আচারটা তৈরী করতে আমগুলোকে দিনের পর দিন রোদে রাখতে হয় না, আবার অনেক সময় ধরে রান্নাও করতে হয় না, আবার যোগাড় করতে হয় না বাহারি কোনো মসলা। আরও মজার বিষয় হচ্ছে, এই আচারটা তৈরী করতে রান্নায় পারদর্শী হতে হয় না, নতুনরাও খুব সহজে এই আচারটা তৈরী করতে পারবে। আর সবচাইতে যেটা ভালো লাগে, আচারটা তৈরী করে সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়া শুরু করা যায়।
তৈরী করতে লাগছে –
- কাঁচা আম – ৫০০ গ্রাম
- জিরা – ১ চা চামচ
- মৌরী
- মসলায় ১ চা চামচ
- আচারে ০.৫ চা চামচ
- শুকনো মরিচ
- মসলায় ৪ টি
- আচারে ৩ টি
- হলুদের গুঁড়ি ০.৫ চা চামচ
- বিট লবণ
- আম মাখাতে ১ চা চামচ
- আচারে ০.২৫ চা চামচ
- সরিষার তেল – ০.২৫ কাপ
- পাঁচ ফোঁড়ন – ০.৫ চা চামচ
- তেজ পাতা – ৩ টি
- গুঁড় – ৫০০ গ্রাম (যতটুকু আম, ততটুকু গুঁড়)
✔ কাঁচ ছাড়াও আপনারা প্লাস্টিকের বৈয়মে বা এয়ার টাইট বাক্সে আচার করতে পারবেন, সেইক্ষেত্রে BPA Free প্লাস্টিকের বৈয়ম/বাক্স নেবেন। এই বিষয়ে দোকানদারের সাথে কথা বলে নিতে পারেন।
আচার বেশীদিন ভালো রাখতে চাইলে এই প্রসেসগুলি ফলো করুন –
🚫 যে কোনো আচার কখনো হাত দিয়ে ধরবেন না।
🚫 আচারে কখনো ভেজা চামুচ ঢোকাবেন না।
🚫 খাওয়ার জন্য আচার বের করেছেন, কিন্তু খেয়ে শেষ করতে পারেন নাই, সেটা আবার বৈয়মে ঢুকিয়ে রাখবেন না। বরং আলাদাভাবে ফ্রিজে রেখে দিন, পরে খেয়ে ফেলুন।
🚫 আচার যে চামুচ দিয়ে তুলবেন, সেটা হাত দিয়ে ধরলে বা মুখে দিলে আবার আচারে ঢোকাবেন না।
🚫 আচারে অন্য ব্যবহারি চামুচ ঢোকাবেন না। যেমন তরকারির ঝোল ওয়ালা চামুচ ঢোকাবেন না।
🚫 আচার তেলের নীচে থাকলে আর ফ্রিজে রাখার দরকার হয় না।
🚫 ফ্রিজে আচার রাখলে, বৈয়ম ফ্রিজে রেখেই ঢাকনা খুলে খাওয়ার জন্য অন্য বাটিতে পরিবেশন করে নিয়ে ঢাকনা বন্ধ করলে আচার বেশী ভালো থাকে। আচারের বৈয়ম যখন ফ্রিজ থেকে বের করে বাহিরে নেবেন, বাতাসের আর্দ্রতায় ঠান্ডা বৈয়ম ও আচার ঘেমে যাবে, পরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলে ঐ আর্দ্রতার পানিতেই আচারে ছত্রাক চলে আসবে।
তৈরী করার অভিজ্ঞতা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শেয়ার করে আপনিও জিতে নিতে পারেন একটি সুন্দর উপহার।