জলপাই এর খাট্টা মিঠা আচার রেডিমেড মসলা দিয়ে

একটা সময় ছিলো যখন আচারের মসলা ১৯/২০ হওয়ার জন্য আম্মুর কাছে অনেক বকা খেয়েছি। বকা খেতাম আর মনে মনে ভাবতাম, ইস্ আচারের মসলাগুলি যদি একদম সঠিক মাপ মতো কেউ তৈরী করে দিতো! আর সেটাই করেছে এসিআই পিওর রেডিমেড আচারের মসলা। আমি এখন এসিআই পিওর রেডিমেড আচারের মসলা ব্যবহার করে কোনো টেনশন ছাড়াই জলপাই এর খাট্টা মিঠা আচার তৈরী করবো। আর আচারটা কত মজার হবে সেটাতো আপনারা নিজে তৈরী করে দেখবেন। তৈরী করার আগে আমার সাথে রেসিপিটি শিখে নিন।

আপনাদের জেনে ভালো লাগবে যে, আচারটা তৈরী করতে কোনো রোদে দেয়ার ঝামেল নাই। তবে খাওয়ার জন্য অন্তত ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ☹, অপেক্ষা করতে হলেও সবুরে মেওয়া ফলে 🙂

তৈরী করতে লাগছে –

  1. জলপাই ১ কেজি
  2. চিনি ১ কাপ
  3. লবণ ০.৫ চা চামুচ
  4. ACI Pure আচারের মসলা ১ প্যাকেট
  5. ACI Pure শুকনো মরিচের গুঁড়ি ১ চা চামুচ
  6. ACI Pure হলুদের গুঁড়ি ১ চা চামুচ
  7. ACI Pure সরিষার তেল: রান্নার সময় ০.৫ কাপ, আচার ডোবাতে ১.৫ কাপ
  8. ACI Pure পাঁচ ফোড়ন: রান্নায় ১ চা চামুচ, আচার ডোবানোর তেলে ০.৫ চা চামুচ
  9. আচার ডোবানোর তেলে শুকনো মরিচ ৫/৬ টি (প্যাকেটে দেয়াগুলি বাদে)
  10. ভিনেগার: প্রিপারেশনে ০.২৫ কাপ, রান্নায় ০.২৫ কাপ
  • ✔ ভিনেগার মানে সিরকা। আমি সাদা ভিনেগার দিয়ে আচার তৈরী করেছি, আর এটা সাদা ভিনেগার দিয়েই করতে হবে।
  • ✔ আচারটি তৈরী করার পরে অন্তত ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করার পরে খাওয়ার উপযোগি হবে।
  • ✔ আচার তৈরী করে এমন পাত্রে রাখতে হবে যেখানে সহজে বাতাস ঢোকে না।
  • ✔ এমনি আচারটি ফ্রিজে রাখার বা রোদে দেয়ার দরকার নেই। তবে আচারে নতুন তেল দিলে সেটা রোদে দেয়া যেতে পারে।
  • ✔ কাঁচ ছাড়াও আপনারা প্লাস্টিকের বৈয়মে বা এয়ার টাইট বাক্সে আচার করতে পারবেন, সেইক্ষেত্রে BPA Free প্লাস্টিকের বৈয়ম/বাক্স নেবেন। এই বিষয়ে দোকানদারের সাথে কথা বলে নিতে পারেন।

আচার বেশীদিন ভালো রাখতে চাইলে এই প্রসেসগুলি ফলো করুন –

  • 🚫 যে কোনো আচার কখনো হাত দিয়ে ধরবেন না।
  • 🚫 আচারে কখনো ভেজা চামুচ ঢোকাবেন না।
  • 🚫 খাওয়ার জন্য আচার বের করেছেন, কিন্তু খেয়ে শেষ করতে পারেন নাই, সেটা আবার বৈয়মে ঢুকিয়ে রাখবেন না। বরং আলাদাভাবে ফ্রিজে রেখে দিন, পরে খেয়ে ফেলুন।
  • 🚫 আচার যে চামুচ দিয়ে তুলবেন, সেটা হাত দিয়ে ধরলে বা মুখে দিলে আবার আচারে ঢোকাবেন না।
  • 🚫 আচারে অন্য ব্যবহারি চামুচ ঢোকাবেন না। যেমন তরকারির ঝোল ওয়ালা চামুচ ঢোকাবেন না।
  • 🚫 আচার তেলের নীচে থাকলে আর ফ্রিজে রাখার দরকার হয় না।
  • 🚫 ফ্রিজে আচার রাখলে, বৈয়ম ফ্রিজে রেখেই ঢাকনা খুলে খাওয়ার জন্য অন্য বাটিতে পরিবেশন করে নিয়ে ঢাকনা বন্ধ করলে আচার বেশী ভালো থাকে। আচারের বৈয়ম যখন ফ্রিজ থেকে বের করে বাহিরে নেবেন, বাতাসের আর্দ্রতায় ঠান্ডা বৈয়ম ও আচার ঘেমে যাবে, পরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলে ঐ আর্দ্রতার পানিতেই আচারে ছত্রাক চলে আসবে।

তৈরী করার অভিজ্ঞতা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শেয়ার করে আপনিও জিতে নিতে পারেন একটি সুন্দর উপহার।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top