০২
মে
ফিরনী
আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন বা ডেসার্টের তালিকায় খুব সম্ভবত ফরনীর নাম সবার উপরের দিকে আছে। ঠিকমতো তৈরী করতে পারলে ফিরনীর কাছাকাছি কিছু নেই। অনেকে পায়েস, ফিরনী আর ক্ষিরের মধ্যে পার্থক্য করতে তাল গোল পাকিয়ে ফেলেন, আমি বিষয়টা সহজ করে বুঝিয়ে দেই।
- ফিরনী: চালের খুদ বা গোটা চাল ভেঙ্গে নিয়ে দুধ দিয়ে তৈরী করতে হবে।
- পায়েস: গোটা চাল দুধের মধ্যে সেদ্ধ করে তৈরী করতে হবে। এবং
- ক্ষির: পায়েসের মতো, কিন্তু সরারসি দুধের সাথে খেজুরের রস এবং গুঁড় দিয়ে তৈরী করতে হবে। ক্ষির চালের পাশাপাশি কাওনের চাল দিয়ে তৈরী করারও একটা ট্রেডিশন রয়েছে।
আশাকরি আর কনফিউশন থাকবেনা। তবে সবগুলির মধ্যে ফিরনী তৈরীর পদ্ধতিটাই আমাদের জীবনযাত্রায় বেশ সহজ, তাই ফিরনী তৈরীর প্রণালীটি দেখাচ্ছি:
ইউটিউবে ভিডিও দেখতে সমস্যা হলে এই লিঙ্ক থেকে ডেইলি মোশনেও ভিডিওটি দেখতে পারেন।
তৈরী করতে লেগেছে
- ফুল ক্রিম দুধ – ৩ লিটার
- সুগন্ধী পোলাওর চান – ০.৫ কেজি
- চিনি – ৫০০ গ্রাম (প্রয়োজনে কম বেশী করতে হবে)
- তেজ পাতা – ২ টি
- ছোটো এলাচ – ৪ টি
- দারুচিনি – প্রায় ৪ সেন্টিমিটার
- পেস্তা – ১০/১২ টি
- ক্যাওড়ার জল – ২ টেবিল চামুচ
- কিসমিস – ২০ গ্রাম
- অন্যান্য শুকনো ফল – প্রয়োজন মতো
০ comments