শীতকাল মানেই পিঠা পুলির উৎসব, আবার শীতের সময় আমাদের ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছাটাও বেড়ে যায়। যে চাটনিটা আমি তৈরী করেছি, সেটা শীতের শুরুতে একবার তৈরী করে খেতে পারবেন পুরো শীত জুড়ে। পিঠা বা ভাজাভুজি দিয়ে তো চাটনিটা খাওয়া যাবেই, আবার এরকম একটা রোল তৈরী করার সময়ও ভেতরে দিলে স্বাদ বেড়ে যাবে অনেক গুন।
তৈরী করতে লাগছে –
- ধনে পাতা
- পুদিনা পাতা
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- লবণ
- সাদা ভিনেগার
- সরিষার তেল
- জিরা
✔ চাটনি তৈরী করার পরে ঠান্ডা করে রুম টেম্পারেচারে এনে এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
✔ কাঁচ ছাড়াও আপনারা প্লাস্টিকের বৈয়মে বা এয়ার টাইট বাক্সে চাটনি সংরক্ষণ করতে পারবেন, সেইক্ষেত্রে BPA Free প্লাস্টিকের বৈয়ম/বাক্স নেবেন। এই বিষয়ে দোকানদারের সাথে কথা বলে নিতে পারেন।
চাটনি বেশীদিন ভালো রাখতে চাইলে এই প্রসেসগুলি ফলো করুন –
🚫 যে কোনো চাটনি কখনো হাত দিয়ে ধরবেন না।
🚫 চাটনিতে কখনো ভেজা চামুচ ঢোকাবেন না।
🚫 খাওয়ার জন্য চাটনি বের করেছেন, কিন্তু খেয়ে শেষ করতে পারেন নাই, সেটা আবার বৈয়মে ঢুকিয়ে রাখবেন না। বরং আলাদাভাবে ফ্রিজে রেখে দিন, পরে খেয়ে ফেলুন।
🚫 চাটনি যে চামুচ দিয়ে তুলবেন, সেটা হাত দিয়ে ধরলে বা মুখে দিলে আবার চাটনিতে ঢোকাবেন না।
🚫 চাটনিতে অন্য ব্যবহারি চামুচ ঢোকাবেন না। যেমন তরকারির ঝোল ওয়ালা চামুচ ঢোকাবেন না।
🚫 ফ্রিজে চাটনি রাখলে, বৈয়ম ফ্রিজে রেখেই ঢাকনা খুলে খাওয়ার জন্য অন্য পাত্রে পরিবেশন করে নিয়ে ঢাকনা দ্রুত বন্ধ করলে চাটনি বেশী ভালো থাকে। চাটনির বৈয়ম যখন ফ্রিজ থেকে বের করে বাহিরে নেবেন, বাতাসের আর্দ্রতায় ঠান্ডা বৈয়ম ও চাটনি ঘেমে যাবে, পরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলে ঐ আর্দ্রতার পানিতেই চাটনিতে ছত্রাক চলে আসবে।
তৈরী করার অভিজ্ঞতা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শেয়ার করে আপনিও জিতে নিতে পারেন একটি সুন্দর উপহার।