বাজারে সারা বছর লতি পাওয়া গেলেও এই আষাঢ় মাসের চিকন লতির যে কি স্বাদ তা আমার মতো লতি পাগল যারা আছেন তারা ভালো জানবেন! আষাঢ় মাসের এই চিকন লতিকেই বলা হয় লতিরাজ। কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও অন্যান্য মিনারেল, যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। যদিও অনেকেই আমরা লতি রান্না করতে জানি, তারপরও গ্রাম বাংলার এই রেসিপিটি আমার ভিডিও আর্কাইভে রেখে দিলাম ব্যাচেলার ও নতুন রাঁধুনীদের জন্য। আশা করছি অনেকের এটা কাজে লাগবে।
তৈরী করতে লাগছে –
- কচুর লতি ২৫০ গ্রাম (পরিস্কার করার আগে)
- চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম (পরিস্কার করার আগে)
- আলু ২ টি (কেটে নেয়ার পরে ১ কাপ হয়েছে)
- পিঁয়াজ কুচি ০.৫ কাপ
- শুকনো মরিচের গুঁড়ি ১ চা চামুচ
- হলুদের গুঁড়ি ০.২৫ চা চামুচ
- ধনে গুঁড়ি ১ চা চামুচ
- জিরা গুঁড়ি ১ চা চামুচ
- লবণ ১ চা চামুচ
- কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি
- রান্নার তেল ০.২৫ কাপ
অনেক জায়গায় মাজুনি বা স্ক্রাবার দিয়ে লতি পরিস্কার করার একটা চল আছে। তবে এই মাজুনি বিশেষ করে স্টিলের মাজুনি ব্যবহার করার কিছু খারাপ দিক আছে –
✔ স্টিলের মাজুনির কোষগুলি পাতলা হওয়ায় পরিষ্কার করার সময় অনেক সময় লতির মধ্যে গেঁথে যায় এবং ভেঙ্গে ভেতরে টুকরো থেকে যায়, যেটা খাওয়া অত্যন্ত বিপদ জনক।
✔ স্টিলের মাজুনি ছাড়া প্লাস্টিক বা অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরী মাজুনি দিয়ে ঠিক মতো লতি পরিস্কার হয় না।
✔ ১ টা মাজুনি দিয়ে শুধু ১ বারই লতি পরিষ্কার করা যায়, তার পরে ফেলে দিতে হয়।
তৈরী করার অভিজ্ঞতা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শেয়ার করে আপনিও জিতে নিতে পারেন একটি সুন্দর উপহার।